আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর মোর্শেদ হত্যাকাণ্ড সহ চারটি বড় ঘটনায় জড়িত বহু অপকর্মের হোতা শাকিল ওরফে মুছাকাক্কা (২৮)কে গ্রেফতারে দু:সাহসিক অভিযানে অসাধারণ ভুমিকা রেখে প্রশংসায় ভাসছেন এসআই মহসিন চৌধুরী-পিপিএম।
নাগরিক জীবনে প্রতিনিয়ত স্বস্তি ফেরাতে সমাজে উৎপেতে থাকা মাদক, চুরি, ছিনতাই, সামাজিক দাঙ্গা ও বাল্যবিবাহসহ নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থেকে গ্রেফতার করে জনসাধারনের কাছে প্রশংসিত তিনি। তার এ কর্মদক্ষতায় বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে অনন্য উদাহরণ হিসেবে স্বল্প সময়ের মধ্যে জনসাধারণের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়াও একাধিক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আটক করে রীতিমতো অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করে জনসন্তুষ্টি অর্জন করেছেন বলেও মনে করছেন অনেকে।
তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) হত্যাসহ চার মামলার আসামি চকরিয়ার মাহমুদনগর বানিয়াছড়া এলাকার নুরুচ্ছফার ছেলে বহু অপকর্মের হোতা শাকিল ওরফে মুছাকাক্কাকে গ্রেফতার করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। এরপর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন এসআই মহসিন চৌধুরী-পিপিএম। নেটিজেনরা তার এই দু:সাহসিক অভিযানের প্রশংসা করেছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, চকরিয়ার পেশাদার অপরাধী শাকিল বরইতলী উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে দলবল নিয়ে প্রভাব বিস্তার করার জন্য অবস্থান করছে এমন খবরটি আসে চকরিয়া থানায়। তাৎক্ষনিক চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলীর নির্দেশনায় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এসআই মহসীন চৌধুরী সঙ্গীয় এএসআই রাজীবসহ পুলিশের একটি দল ওয়ারেন্ট মূলে শাকিলকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করলে ধূর্ত আসামি শাকিল পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে স্কুল থেকে অনুমান ৫০০ গজ দূরে জনৈক নুরুন নবীর সুপারী বাগান থেকে তাকে ধৃত করা হলেও আসামি শাকিল প্রভাব বিস্তার করে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার নানা চেষ্টা করলেও প্রায় ১০ মিনিট তার সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পরবর্তীতে ভোট কেন্দ্রে থাকা সাংবাদিক সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে আসলে সে আর পালানোর উপায়ান্তর না দেখে পুলিশের হাতে ধৃত হয়।
চকরিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার শাকিলের বিরুদ্ধে আলোচিত মোর্শেদ হত্যাকাণ্ডসহ চারটি মামলা রয়েছে। যার মামলা নং: জিআর- ৬৯/১৬ (মোরশেদ হত্যা), জিআর-৪৩/২৩ (ওসি নেজামের ঘর চুরি), জিআর-২২১/২২ (দস্যুতা), জিআর-৫২/২৩ (হত্যার চেষ্টা)।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। গ্রেফতার শাকিলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে, একের পর এক সফল অভিযানের ঘটনায় থানা পুলিশসহ এলাকাবাসীর কাছে প্রশংসীত হয়েছেন চৌকশ পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মহসিন চৌধুরী-পিপিএম
এছাড়াও থানায় যোগদানের পর থেকে তিনি মাদক মামলার আসামী ও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতারসহ বেশ কয়েকটি সফল অভিযান করেছেন। এমন কর্মকান্ড অব্যাহত থাকলে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে বলে সচেতন মহলের দাবী।
প্রসঙ্গত, এস আই মহসিন চৌধুরী-পিপিএম ২০০৩ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে। এরপর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যিনি অভিযান পরিচালনা করেছেন একাধিকবার। নিজের মেধা ও বিচক্ষণতা দিয়ে সমাধান করেছেন একাধিক মামলার জট।
আর চাকরি জীবনে এসব ভুমিকা রাখার কারণে তিনি স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি দুইবার আইজি ব্যাজ, লক্ষীপুর জেলায় ৩৮ বার পুরষ্কার লাভ করেন এবং কক্সবাজার জেলায় ৩০ মাসে ২৬ বার শ্রেষ্ঠ পুরষ্কারসহ সর্বোচ্চ স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক “প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল” (পিপিএম) পুরুস্কারে ভূষিত হন। গেল ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪’ এর অনুষ্ঠানে মহসিন চৌধুরীকে এ পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-